print this page

মানুষের মানচিত্র: আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন!

মানুষের মানচিত্র: আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন!

মানুষের মানচিত্র: আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন!

ঈদ মানেই আনন্দ। সারা বছর যে যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন, এ সময়টা পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাটায়। এক সঙ্গে সিনেমা দেখা, খাওয়া-দাওয়া আরো কত কী! কোরবানির ঈদের আনন্দটা একটু ভিন্ন। এ দিন কোরবানি দিয়ে মাংশ কাটা, মাংশ ভাগ করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সবাই। কিন্তু এরপরও কিছু মানুষ আছে যারা কোরবানির বর্জ্য পরিস্কার করতে করতেই দিন পার করে দেয়। তাদের জন্য ঈদের দিন আর অন্যদিনের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। তারা হলো সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

কাল ঈদ। তাই আজ মানুষের মানচিত্র’র আয়োজন সাজানো হয়েছে এসব পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গল্প দিয়ে। যারা ঈদের দিনও এই শহরকে ঝকঝকে করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে যাবে অনবরত ভাবে।



রাজধানীর রাস্তা-ঘাট, নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করে যাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত অনেক কর্মী। ময়লা সংগ্রহ, শহরের রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া, নর্দমা পরিষ্কার, ময়লার ট্রাকে ময়লা তুলে দেয়া-অর্থাৎ সমাজে যে কাজগুলোকে ‘অশুচি’ বলে বিবেচনা করা হয় সেই কাজগুলোই করে থাকেন এ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। খেটে খেটে যারা শহরকে ঝকঝকে করে তোলেন, তাদেরই হতে হয় নানা বঞ্চনার শিকার। এসব মানুষদের জন্য কেউ ভাবে না, কেউ এদের নিয়ে চিন্তা করে না। এদের জীবন যাপন করতে হয় অন্ধকারের জীবন। তাদেরই একজন হলো ইসমাইল। বয়স ৩০ হবে প্রায়। তার সঙ্গে গল্প করে ঈদের অনুভুতি জানলাম।



কালকে ঈদের দিন কীভাবে পার করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল বলেন, ‘ঈদ! কী আর করুম? তোমরা কুরবানি দিবা, আমরা ওইসব পরিষ্কার করুম।’

ইসমাইল জানান, ঈদের দিন কাজের চাপ আরও বেশি থাকে তার। যেহেতু কোরবানির ঈদ, পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করে, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দূর্গন্ধ মুক্ত রাখতেই তিনি ব্যস্ত থাকেন।

‘ঝামেলা হয় যহন বার বার পরিষ্কার করন লাগে। অনেকে তো ঈদের পরেও গরু-চাগল কাটে। তহনই ঝামেলা হয়। বার বার পরিষ্কার করা ভাল লাগে না।’



পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরকে অনেক সময় নর্দমায় নেমে ময়লা পরিষ্কার করতে হয়। কিছু কিছু ড্রেনেজ সিস্টেমের লাইনগুলো এতটাই গভীর যে সেটা পরিষ্কার করতে হলে পুরো শরীর নিয়েই ঢুকতে হয় ড্রেনে। সেই কাজ করার পর যখন নর্দমা থেকে বের হয়ে আসে, তখন তারা রীতিমত কাঁপতে থাকে, কষ্টে। এ কাজ করার জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন হয় এক জোড়া হাত, এক জোড়া পা এবং ওই দূর্গন্ধযুক্ত অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ার মত সাহস।

ইসমাইল বলেন, দিনের শুরুতেই তাকে একটি নর্দমায় নেমে পড়তে হয়। দিনের শেষেও তার শরীর থেকে সেই দুর্গন্ধ যায় না। ড্রেনের নোংরা পানির মধ্যে মরা জীব জন্তু ভাসে, সেই পানিতেই মুখ ডুবিয়ে কাজ করতে হয় তাকে।

ইসমাইল বলেন, ‘ঈদ তোমাগো জন্য আপু। আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন। ঈদ আর কি? মাঝে মাঝে সময় পাইলে, একটু ঈদের সিমাই খাই, আর বাংলা ছবি দেখি।’

আমরা সারাদিন নিজেরাই রাস্তা ঘাটে ময়লা ফেলে নোংরা করে রাখি প্রাণের শহর ঢাকাকে। অথচ আমরা চাইলে ডাস্টবিন ব্যবহার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ অনেকটাই সহজ করে দিতে পারি। তবে চলুন না, ঈদে কোরবানির বর্জ্য নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলি বা মাটিতে গর্ত করে চাপা দেই। অন্তত এই ঈদের সময়গুলোতে এই মানুষগুলোকে কিছুটা শান্তি দেই।
পোস্ট”:কপি
0 মন্তব্য(গুলি)

জীবন বদলে ফেলার জাদু

Related image

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন নতুন পরিবর্তন অপেক্ষা করে আমাদের জন্য। যেগুলো নিমিষে এলোমেলো করে দেয় অনেক আগে থেকে ভেবে রাখা সব কথা আর পরিকল্পনাগুলো। কিন্তু এর সবটাই কী হঠাৎ করেই হয়?

না! আমরাও জীবনে পরিবর্তন চাই। আর চাই বলেই নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে নিই নানারকম পদক্ষেপ। কোনো সমস্যায় পড়েছেন, কষ্টে আছেন, কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে আটকে গেছেন? জীবনকে একেবারেই নতুন করে শুরু করতে চান? বদলে দিতে চান একেবারেই। তাহলে চেষ্টা করুন এই ব্যাপারগুলো। বদল আপনার জীবনে আসবেই! এবং সেটা ইতিবাচকভাবে। জীবন বদলের গল্প , জীবন বদলের চাবিকাঠি , জীবনের রং বদলের গল্প , জীবন নিয়ে গল্প , জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন , দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে , জীবন কি , জীবন মানে কি , জীবন কাহিনী , জীবন যুদ্ধ , জীবন নিয়ে কবিতা , জীবন মানে , দিন বদলের গল্প এসব সমার্থক বাক্যগুলোর মধ্যে কোন না কোনটাই আপনার জিজ্ঞাসা হতে পারে। আসুননা নিচের পদক্ষেপগুলোকে একবার সমীক্ষা চালাই।

নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন

একজন মানুষ হিসেবে আপনার ভেতরেও আর সবার মতন আছে হাজারটা স্বপ্ন। সেগুলোর কোনোটা ভেঙে গিয়েছে এর মধ্যেই, কোনোটা রয়ে গেছে আপনার নিজেরই অজানা। জানতে চেষ্টা করুন কী সেই স্বপ্নগুলো। কী করতে চান আপনি? কী করতে ভালোলাগে? আর ১০ বছর পর পেছনে ফিরে দেখলে নিজেকে কোথায দেখতে চাইবেন আপনি? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন। হয়তো এখন আপনি ভেঙেচুরে আছেন, আপাত দৃষ্টিতে কোনো স্বপ্নই দেখতে পারছেন না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, মানুষ মরে গেলেও তার স্বপ্ন মরে না। আর তাই প্রথমে নিজেকে জানুন আর নিজের ভেতরে লুকিয়ে তাকা ইচ্ছেটাকে চেনার চেষ্টা করুন।

তালিকা তৈরি করুন

কী করতে চান আপনি? কী কী করার ইচ্ছে আছে আপনার? নিজের শখগুলোকে বন্দি করে ফেলুন কাগজের পাতায়। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে? তখন কোনোরকম চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমরা বলতাম- বড় হয়ে রিকশাওয়ালা হব! আকাশে উড়ব! এমনি আরো কতকিছু। ঠিক সেরকমভাবে কী করতে পারা যাবে আর কী যাবেনা সেটা চিন্তা না করেই লিখে ফেলুন ঠিক কী কী ইচ্ছে আছে আপনার আর সেগুলোকে পূরণ করার পথে এগিয়ে যান।

স্বপ্নের পথ খুঁজুন

স্বপ্ন দেখলেই তো হয়না। সেগুলো পূরণের জন্য করতে হয় যথেস্ট চেষ্টাও। আর তাই নিজের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে এগিয়ে যান। কোনোটা হয়তো একদিনেই সম্ভব, কোনোটা এক বছরেও নয়! আর তাই স্বপ্নের মাত্রা অনুযায়ী ঠিক করে ফেলুন সেটা অর্জনের পথ। তবে একেবারেই খুব বেশি মাথা ঘামাবেন না। হতেই পারে হুট করে আপনার স্বপ্নটাই বদলে গেল। কিন্তু সেটা পূরণের জন্যে যে ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো নেন আপনি তাতেই পাল্টে যেতে পারে আপনার জীবন অনেকটা।

অনুশোচনাকে ভুলে যান

জীবনে অনেক কাজই আছে যেগুলোর জন্যে মনে মনে অনুশোচনায় পুড়ছেন আপনি। কিন্তু এটা একেবারেই কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না আপনার জন্যে। উল্টো এই অনুশোচনাগুলোই অতীতের সঙ্গে আরো আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখবে আপনাকে। যা করেছেন, যা হয়েছিল সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কারণ মাথায় বয়ে বেড়ালে ব্যাপারটি পাল্টাবে না। উল্টো অনুশোচনা করে বর্তমানকে নষ্ট করলে সেটাই ভবিষ্যতে আপনার অনুশোচনার কারণ হয়ে দাড়াবে। একটা বেলুন নিন। তাতে লিখুন আপনার অনুশোচনার ব্যাপারটি। আর ফুলিয়ে উড়িয়ে দিন আকাশে। কিংবা কাগজে লিখে পুড়িয়ে ফেলুন। পানিতে মিশিয়ে ফেলে দিন বাইরে। মোটকথা, যেভাবেই হোক মুক্তি দিন নিজেকে অনুশোচনার ভূতের হাত থেকে।

ভয়কে জয় করুন

প্রতিটি মানুষেরই কোনো না কোনো ব্যাপারে ভয় থাকে, দূর্বলতা থাকে। না, সেটা থেকে দূরে নয়, বরং সেটার অনেক কাছে এসে মুখোমুখি মোকাবেলা করুন। যদি এমন হয় যে উঁচু জায়গাকে ভয় পান আপনি, সাঁতার কাটতে ভয় পান কিংবা মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় পান- তাহলে যেটাই হোক চেষ্টা করুন সেটা করতে। নিজের ভয়কে সামনে থেকে মোকাবেলা করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে সঙ্গে সাঁজিয়ে ফেলুন জীবনকে নতুন করে। এখনই একটা তালিকা করে ফেলুন এই জিনিসগুলোর। আর এগিয়ে যান।

শরীরের প্রতি যত্ন নিন

মন খারাপ? জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছে? না খেয়ে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত খেলে সেটা সাময়িক ভালো লাগা দিলেও একটা সময় গিয়ে খারাপ লাগাটা বাড়েই কেবল। কমবে না। আর তাই শরীরের যত্ন নিন। ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করুন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন খানিকটা শরীরচর্চা করতে। আমাদের বয়স বেড়ে যাবে, আমরা একটা সময় অসুস্থ হব। এসব কিছুই ঠিক। এগুলোর কোনোটাকে খুব একটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না আমি কিংবা আপনি। কিন্তু শরীরের যত্ন নিয়ে শরীর আর মনকে ভালো রাখতে পারব।

নেতিবাচক ভাবনাকে জয় করুন

নেতিবাচক ভাবনা তৈরি করি আমরা, আর সেটাকে পেলে পুষে বড় করে শেষমেশ সেটার হাতে নিজেকে সঁপেও দিই আমরাই। আর তাই নিজের মাথায় থাকা এমন কোনো নেতিবাচক চিন্তাকে পাত্তা দেবেন না। সময় দেবেননা সেটাকে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে। কেউ একজন আপনার জীবনে ছিল। এখন নেই বলেই যে আপনার জীবন কষ্টের, নষ্ট হয়ে যাবে তা না। তেমনি আপনার একটা চাকরি চলে যাওয়া মানেই এই না যে আর চাকরি পাবেননা। আর তাই সামনে যেটা আসছে সেটাকেই ভালোভাবে মেনে নিন। কে জানে, আপনার ধারণাকে ভুল করে দিয়ে সামনে হয়তো আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্যে!

বর্তমানে থাকুন

বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের জীবন। তবে বর্তমানই একটা সময় অতীত আর ভবিষ্যত তৈরি করে। তাই চেষ্টা করুন বর্তমানেই সবসময় বাঁচতে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিয়ে ভেবে এবং অতীতে কী হয়েছিল তা নিয়ে পড়ে থেকে বর্তমানকে খারাপ করবেননা। এতে করে আপনি যা আশংকা করছিলেন তাই হতে বাধ্য হবে। আর সেটা বাধ্য করেন আপনিই!

নিজেকে ভালোবাসুন

বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে আপনাকে কিংবা নিজের কোনো একটা ব্যাপার নিয়ে বিরক্ত আর রাগান্বিত আপনি? কিন্তু একবার ভাবুন, আপনি যেমনই হোন, সেটা তো আপনিই! আপনাকে আপনিই যদি অবহেলা করেন, তুচ্ছ করেন, ভালো না বাসেন তাহলে অন্য কেউ ভালোবাসবে কেন আপনাকে? আর তাই ভালোবাসুন নিজেকে। আর নিজে যা সেটা নিয়ে আসুন সামনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।
জীবন বদলের গল্প তো অনেক বললাম, কে জানে কে কি মনে করেন, তবে এটুকুই বলার সাহস রাখি যে, কথাগুলো জীবনের প্রতি পদেপদে সত্যি। ধন্যবাদ ……………. ভাললাগলে শেয়ার করুন।
পোস্ট:কপি

0 মন্তব্য(গুলি)

জীবনের কিছুটা সময়

Image result for জীবনের কিছুটা সময়




 

জীবনের কিছুটা সময় 

জীবনের কিছুটা সময় অবেলার মত হারিয়ে গেছে ! পৃথিবীর কিছুটা সুখ আকড়ে ধরে বাচতে চেয়েছিলাম কিন্তু জীবনটা যে এত অবহেলার পাত্র হয়ে যাবে তা কখনো ভাবিনি. আজকের এই পৃথিবীটা নিজের কাছে খুব বেমানান লাগে.
কি নিষ্টুর এই দুনিয়া !!
মানুষ কারণে - অকারণে কাদে, ভেসে বেড়ায় হতাশার জালে. স্বপ্ন বুনে যায় আপন মনে! কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো যে হতাশার কালো অন্ধকারে ঢেকে যাবে তা কে জানে .
বড়ই আজব এই দুনিয়া !!

প্রিয়া তোমার ভালবাসায়
প্রিয়া তুমি ভুলে যেও না আমায় 
হৃদয় উজার করে ভালবাসা দেব তোমায়
তুমি আমার এই জীবনের প্রথম ভালবাসা
কখনো দিও না মনে দুঃখ-বেদনা আর নৈরাশা !!!

তোমায় নিয়ে কত আশা কত স্বপ্ন দেখি
তুমি আমায় কখনো দিও না ফাকি
এক জীবনে যত আশা, যত ভালবাসা
সবই রেখেছি জমা তোমায় দেব বলে
কখনো এই হৃদয়টাকে দিও না ভেঙ্গে ছুড়ে !!!

একদিন তোমায় বউ সাজিয়ে নিয়ে যাব আমার ঘরে
সেদিন নেব তোমায় পৃথিবীর সবচেয়ে আপন করে
চুপটি করে থাকবে সেদিন বলবে না কিছু আমায়
হৃদয়ে জমানো সব ভালবাসা সেদিন দেব তোমায় !!!

স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে গড়ব জীবন আমরা দুজন
ভালবাসার সাগরে মিশে একসাথে রব মোরা সারাজীবন !!!

লেখক:এস. এম. কামরুজ্জামান

 





0 মন্তব্য(গুলি)

আমার জীবনের লক্ষ কি?







আমার জীবনের লক্ষ কি?


আমি অনেক হতাশ ছিলাম... দরজা বন্ধ
করে মেঝেতে শুয়ে ভাবছিলাম...
আমি কি করবো ?

আমার জীবনের লক্ষ কি??
হঠাৎ খেয়াল করলাম...এর জবাব
আমার ঘরের ভিতরেই আছে !

মাথার উপরে ফ্যান বলছেঃ
সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখবে!

ছাদ বলছেঃ সব সময় চূড়ায়
যাবার চেষ্টায় থাকবে!
জানালা বলছেঃ বাহিরের
জগতটা কে দেখ ভাল করে!

ঘড়ি বলছেঃ প্রতিটা সময় অনেক মূল্যবান!
আয়না বলছেঃ আগে ভাবো , তার পর করো!
ক্যালেন্ডার বলছেঃ সবার আগে চলো!

দরজা বলছেঃ সর্ব শক্তি দিয়ে জীবনের
লক্ষ পূরন এর চেষ্টা করো!
আমি উঠে দাঁড়ালাম…
দরজার দিকে এগিয়ে আসছি , এমন সময়
পিছন দিক থেকে মেঝে বলে উঠলোঃ- ''সবকিছুর আগে মেঝেতে সেজদা দিয়ে খোদার
কাছে সাহায্য চেয়ে নাও !!'

(art:yasin) 


আমাদের ফেজবুক
0 মন্তব্য(গুলি)

আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার


 আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার


নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা কজন—আমি, মা, বাবা, আমার ছোট আপু আর ভ্যানচালক ডাকুদা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে ভ্যান চালাতে গিয়ে ঘেমে নেয়ে একাকার তিনি। একটু ছায়ায় গিয়ে দাঁড়ালেন। আর আমার দৃষ্টি নদীর পাশের মরাকাটির খেলার মাঠের দিকে। আমার বন্ধুরা সবাই ক্রিকেট খেলছে সেখানে। আমারও তখন সেখানে থাকার কথা। দুদিন আগেই আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অনেক আশা করেছিলাম, পরীক্ষা শেষে মুক্তবিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াব আর সারা দিন ক্রিকেট খেলব। অর্জুন আর রুবেলের শর্ট পিচ বলগুলো ঠিকমতো খেলতে পারি না। এই কয় মাসে অনুশীলন করে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠব। কিন্তু সেটা আর হলো না।


আমি ঢাকায় চলে যাচ্ছি। ওখানে আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করব। আমার আপু-দুলাভাইয়ের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতে হবে। ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনে আমি প্রথমে খুব একটা অখুশি হইনি। প্রথমত আমি আমার কয়েক মাস বয়সী ভাগনি রিফাহকে খুব মিস করছিলাম। তার সঙ্গে খেলতে পারব সারা দিন, এই ভেবে খুব ভালো লাগছিল। আর ঢাকায় গেলে দুলাভাই আইসক্রিম কিনে খাওয়াবেন। আপু রান্না করবেন মজাদার নুডলস। এই সবকিছুর চেয়েও অনেক বড় একটা কারণ ছিল—নিজেকে ভালো একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা। এটা ১৭ এপ্রিল ২০০২ সালের কথা।

এর পাঁচ বছর আগে ক্লাস সিক্সে যখন দিনাজপুর জিলা স্কুলে পড়ার সুযোগ এসেছিল, তখনো বাবা-মাকে ছেড়ে শহরে থাকব না বলে অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। এরপর আমার শিক্ষক প্রাণ কুমার স্যার যখন ভর্তি ফরমে আমার স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন, আমি বাড়ির পেছনের খেতে লুকিয়ে ছিলাম প্রায় কয়েক ঘণ্টা। যতক্ষণ স্যার আমাকে শহরে নিয়ে না যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি না দেন। এবার আর সে পথে না গিয়ে সুবোধ বালকের মতো ঢাকায় যাচ্ছি পড়তে। নদী পার হওয়ার পর ভ্যানচালক ডাকুদা আমাকে আর বাবাকে বললেন ভ্যানে উঠে পড়তে। শহরে যেতে সময় লাগবে। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার গালে অনেক আদর করে দিলেন আর বললেন ভালো করে পড়াশোনা করতে। আমি ভ্যানে উঠতেই মা কেঁদে ফেললেন। মার কান্না দেখে পাশ দিয়ে যাওয়া এক কাকা বললেন, মাস্টারনি এভাবে কাঁদলে ছেলের মন বসবে না তো ঢাকায়। আমিও মাকে বললাম, আপনি কাঁদলে আমি ঢাকায় যাব না। মা আঁচল দিয়ে চোখ মুছে কান্না ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন।

ঢাকায় এসে সময়ের স্রোতে শহুরে জীবনের বাস্তবতা টের পেলাম। চার দেয়ালের মাঝখানের বদ্ধ জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠি আমি। এরপর ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলাম। এখানে এসে বুঝতে পারলাম নিজেকে ঝালিয়ে নেবার অফুরন্ত সুযোগ আমার সামনে। ধীরে ধীরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম, আমি আমার পরিশ্রম দিয়ে বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করব। একদিন আমার গ্রামের স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখাব উজ্জ্বল ভবিষ্যতের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকে ইংরেজি ক্লাসে ​ম্যাডাম আমাদের সবাইকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আমাদের স্বপ্ন কী বলতে বললেন। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে স্পষ্ট দৃঢ়তা নিয়ে বলে ফেললাম, আমি এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হতে চাই। আমার কথা শুনে বন্ধুরা সবাই চোখাচোখি শুরু করল আর এই অধমের দুঃসাহস দেখে কেউ কেউ বিস্মিতও হলো। যা হোক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন আমার স্বপ্নগুলোও ডানা মেলতে শুরু করল।
২০১২ সালে আমি আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলাম। এরপর সে বছরই পিএইচডি করতে জার্মান ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে এসেছি। এখানে আসার পর আমি স্বপ্ন দেখি আমার দেশেও একদিন আমি অনেক বড় একটা রিসার্চ ল্যাব গড়ে তুলব। সেখানে গবেষণা হবে ক্যানসার জিনোম সিকুএন্সিং আর ফাংশনাল জিনোম নিয়ে। আমরা আমাদের নিজস্ব ক্যানসার তথ্যভান্ডার গড়ে তুলব। সেখানে কাজ করবে আমার দেশের সব তুখোড় খুদে বিজ্ঞানীরা।
এসব আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছি গত তিন বছর ধরে। এখন যখন আমার দেশে ফেরার সময় হয়েছে, সময় হয়েছে আমার স্বপ্নগুলোকে রাঙিয়ে তোলার, তখনই নানা অনিশ্চয়তা আর রূঢ় বাস্তবতা সামনে আসতে শুরু করেছে। বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে গবেষণা খাতে আমাদের অর্জন যৎসামান্য। মেধা আর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে আমরা এখনো সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। তার পরও স্বপ্নচারী মানুষের স্বপ্নযাত্রা থেমে থাকে না। এত সীমাবদ্ধতা পরও আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জিনোমে রহস্য উন্মোচন করেছেন। কলেরা আর টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের দেশের ডিএনএ ল্যাব এখন অপরাধী শনাক্ত করতে আধুনিক কৌশল অবলম্বন করছে। সব সাফল্যের পেছনেই আছে অনেক বড় বড় স্বপ্ন আর স্বপ্ন দেখার জন্য স্বপ্নচারী আমার স্বপ্নও হয়তো একদিন পূর্ণ হবে। আগামী বিশ বছর পর হয়তো কার্জন হলের কোনো ল্যাবে বসে আমি আমার স্বপ্নের গল্প অন্যদের শোনাব আর তাঁর ফাঁকে এসে আমাদের ল্যাবের খুদে গবেষকেরা এসে বলবে, স্যার, আর্সেনিক দূষণের কারণে যেসব ক্যানসার হয়ে থাকে তাদের জিনোমে গবেষণা করে আমরা এমন একটি মিউটেশন পেয়েছি যেটা আর্সেনিকের জন্য হওয়া সকল ক্যানসারের মধ্যেই পাওয়া গেছে এবং সেগুলো ক্যানসার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনে সাহায্য করে। আমি চোখে মুখে উত্তেজনার ভাব লুকিয়ে বলব, তাহলে আমরা কোষ বিভাজনে সেই প্রোটিনের ভূমিকা দেখতে চাই। কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ওখানকার বায়ো ইমেজ প্রসেসিং ল্যাবের সঙ্গে কথা বল। তারা কোষ বিভাজনের সময় বিভিন্ন প্রোটিনের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেন। এরপর খুদে গবেষকেরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আমি বিড়বিড় করে বলতে থাকব, ক্যানসার, এবার তোমার পাঁজর ভেঙ্গেই ছাড়ব। স্বপ্ন তো স্বপ্নই...সীমানা দিয়ে স্বপ্ন দেখার তো মানে হয় না।









0 মন্তব্য(গুলি)

মিথ্যা ভালোবাসা

Image result for মিথ্যা ভালোবাসা






  মিথ্যা ভালোবাসা 


বন্ধুরা তুমরা সবাই কেমন আছো। তোমাদের Garil Friend and Boy Friend কে নিয়ে আসা করি মিথ্যা ভালোবাসা নিয়ে ভালো্ই আছো। মিথ্যে ভালোবাসা টা হল ছেলেরা মেয়েদের নিয়ে মজা করে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে এই কথা গুলো তুলে ধরিছি। ছেলেরা মেয়েদের কে নিয়ে মজা করতে ভালোবাসে। তারা মেয়েদের কে নিয়ে মজা করলেই তো হবে না। এক্ষেত্রে মেয়েদের কিছু কথা বলার আছে। ছেলেরা আসলেই একটা Dog. তারা মেয়েদের পিছনে কুকুরের মত ঘুর ঘুর করে।এ কথা গুলোর মাঝখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে ছেলেরা মেয়েদের পিছনে ঘুরে। কী বন্ধুরা সত্যি কথা বলেনি। আসা করি তোমরা হ্যাঁ বলবে। তারা সুন্দর স্মার্ট বলে মনে করে। তারা সুন্দর কিন্তু কুকুরের মতো।  য়ারা এরকম মিথ্যা ভালোবাসা নিয়ে ঘুরে তাদেরকে এসব কথা বলা হয়েছে। তারা সকালে এক মেয়ের সাথে,দুপুরে এক মেয়ের সাথে,বিকেলে এক মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়ায়। আসলে ছেলেদের কাজই এটা। তারা Bad Habits. ছাড়ে না। মেয়েদের সহজ, সরল ভালো মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আমি ছেলেদের ক্ষেত্রে কিছু কথা লিখে দিচ্ছি। যেমনঃ কয়লার মতো কালো, কাকের মতো কর্কশ, বাজ পাখির মতো ক্ষুধার্ত, পালকের মত হাল্কা ইত্যাদি। মিথ্যা ভালোবাসা কথাটা তোমাদের Let the dog loose.ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। কী বন্ধরা Story টা কেমন লাগল। আসা করি উওরটা পাঠিয়ে দিবে।


লেখক: সুরাইয়া আক্তার সাথী 
আমাদের ফেজবুক পেইজ
0 মন্তব্য(গুলি)
 
Copyright © 2014. আমাদের লেখা - All Rights Reserved
Template Created by Mony pabna