print this page

লেখা আহবান

আমাদের জন্য লিখুন
আমাদের জন্য আপনি যে কোন লেখা পাঠাতে পারেন। যদি সেটি প্রকাশযোগ্য হয় তাহলে আপনার লেখা নামসহ প্রকাশ করা হবে। রাজনীতি ও ধর্ম বিষয় ছাড়া সমাজের যে কোন বিষয় নিয়ে আপনি লেখা (ইচ্ছা করলে ছবিসহ) আমাদের ঠিাকানায় পাঠিয়ে দিন। amaderlekha2017@gmail.com
0 মন্তব্য(গুলি)

গাফিক্স ডিজাইন














0 মন্তব্য(গুলি)

friend


0 মন্তব্য(গুলি)

জীবনের লক্ষ


Image result for জীবনের লক্ষ




জীবনের লক্ষ 


আমি আমার জীবননের লক্ষ তুলে ধরেছি। আমি একজন ডাক্তার হতে চাই। আমি জানি আমাকে সবাই মনে মনে প্রশ্ন করবে। আমি কেন ডাক্তার হতে চাই, কারণ আমি ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করতে চাই। সমাজে গরীব দুঃখীদের পাশে ডাক্তার হিসেবে থাকা খুবই প্রয়োজন।  কেননা ডাক্তার হিসাবে কর্তব্য পালন করা দরকার এবং ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করা প্রয়োজন। ডাক্তার হিসাবে গড়ে ওঠার কারণ জীবনকে বদলে দেওয়া ব্যবহারকে বদলে দেওয়া ইত্যাদি। 

চলবেই
0 মন্তব্য(গুলি)

অনুচিন্তা

Image result for অনুচিন্তা

অনুচিন্তা 


আজ এতো রাত হয়ে যাচ্ছে তাও চোখে  ঘুম নেই। আমার একটাই চিন্তা সময় চলে যাচ্ছে সময়ের সঠিক সময় দিতে পারছি কি?  এবং যে সময় আমার জীবন থেকে চলে যাচ্ছে তা আর কোন দিন ফিরে আসবে কি? তা নিয়ে চিন্তা করছি আর কেনই বা আমরা সময়ের  জন্য অপেক্ষায় থাকি সময় তো আমাদের জন্য এক সেকেন্ড অপেক্ষা করে না। আজ থেকে শপদ নিচ্ছি আর করব না সময়ের অপচয় । সময়ের সঠিক মূল দিব। এক সময় ছিলাম ছোট   আজ হয়েছি বড় এই ভাবেই প্রতিটি অমূলবান সময় আমাদের জীবন থেকে বিদায় নিচ্ছে। এবং নিবেই আর আমরা আম্মকের মত হয়ে তা দেখছি। আর কত দিন এইভাবে দেখে যাব।
0 মন্তব্য(গুলি)

মা


Image result for মা

মা 

মায়ের মত আপন এই তৃভুবনে নাই যে কেউ আপন। মায়ের ঐ চাদঁ মাখা মুখ খানি দেখিলে কবুল হজ্জ সওয়াব লেখেন মাওলা। এই দুনিয়াতে আপন বলতে মা,বাবা ছাড়া নাই যে কেউ। 
0 মন্তব্য(গুলি)

কবিতার ঝুড়ি

Image result for কবিতার ঝুড়ি

কবিতার ঝুড়ি

কবিতা তুমি থাক মনের গহিনে তুমার ছোয়াঁ ধন্য আমরা সবই। তুমি মোর জীবনের ভাবনা তুমি মোর জীবনের সাধনা। তুমি যদি মনের গহিনে না থাকিতে তাহলে এতো কবিতা কোথা থেকে আসত বেসে। তুমি হলে কবিতার ঝুড়ি তুমি মোর আমার স্বপ্ন। তুমি মোর জীবনের চলার সাথী। তুমার কথা ভাবি আমি  প্রতি রুজ সকাল থেকে সন্ধা। তুমি একটু  শুধা দাও আমাকে আমি যেন তুমায় নিয়ে লেখতে পারি। তুমি মোর কতই না ধ্যন তুমায় নিয়ে কবি লেখে কবিতা। তুমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখে ধন্য আমারা সবই।






0 মন্তব্য(গুলি)

জীবন

Image result for জীবন






জীবন 

কারো কিছু পাওয়ার আনন্দ।
আবার কারো কিছু না পাওয়ার,
বেদনা এই দুয়ে মিলে মানুষের জীবন গঠন।
করেছেন উপর ওয়ালা।
যে পাই তাহার অহংকার জম্ম নেই,
আর যে পাই না তাহার কষ্ট জম্ম নেই। 

0 মন্তব্য(গুলি)

দ্য রয়েল এক্সপ্রেস এবং আমার অর্ধ সফল প্রেমের গল্প (ফার্ষ্ট স্টেজ)

দ্য রয়েল এক্সপ্রেস এবং আমার অর্ধ সফল প্রেমের গল্প (ফার্ষ্ট স্টেজ)

-এটা কি আপনার সিট ? 
বেশ কঠিন বলায় বলল মেয়েটা ! আসলে অনেকে মনে করে সুন্দর মেয়েরা নাকি ধমক দিতে পারে না । কিন্তু আমার মনে হয় কঠিন গলায় কথা বলাটা সুন্দরীদের কাছে কোন ব্যাপার না । 
মাস খানেক আগের কথা । আমি ক্যাম্পাস থেকে বাসায় যাচ্ছি । বাসে খুব ভীড় । অনেকই দাড়িয়ে আছে । আমার ঠিক পাশেই একটা মেয়ে দাড়িয়ে ! আমি যথেষ্ট চেষ্টা করছি যেন মেয়েটার সাথে আমার কোন রকম ধাক্কা না লাগে ! কিন্তু লেগেই গেল । তবে আমার সাথে না । মেয়েটির সামনে দাড়ানো একটা ছেলের সাথে ! 
আর যায় কোথায় ! 
এমন কিছু কথা শোনালো আমি যে আমি হতবাক হয়ে গেলাম ! একেবারে চুপ করে শুনতে লাগলাম আর মেয়েরার চেহারার দিকে তাকাতে লাগলাম । মেয়েটার চেহারাটা কেমন একটা স্নিগ্ধ ভাব আছে । আমার প্রথমে ঠিক বিশ্বাসই হচ্ছিল না যে মেয়েটা এমন কঠিন কথা বলতে পারে । 
যাই হোক ব্যাগ রাখার সময়ই দেখেছি আমার পাশে বসা মেয়েটিও মাশাল্লা কম সুন্দরী না । এবং সাথে একটু আধুনিক ! পোষাক পরিচ্ছেদে তো তাই মনে হচ্ছে । 
কালো জিন্সের সাথে কাল ফতুয়া পরেছে মনে হয় ! এটাকে সম্ভবত ফতুয়াই বলে । ফতুয়ার মাঝ খানে বড় একটা আল্পনা আকা !! আর মেয়েটার গলায় একটা স্কাপ জড়ানো । ইদানিং মেয়েরা দেখি আর ওড়না পরে না । 
মেয়েটাকে দেখলাম যথেষ্ট বিরক্ত ! আমি যে তার বিরক্তির কারন এটা বুঝতে পারছি ! 
অবশ্য মেয়েটাকে আমি খুব বেশি দোষ দেই না । বাসে উঠতে যাব, বাসের সুপারভাইজার গেটের মুখেই আমাকে আটকে বলল 
-আপনি এই বাসের ? 
আমার মনে হল একটা থাপ্পর দেই বেটা কে । কিন্তু দিলাম না । মনে মনে বললাম বেটা ফাজিল আমি এই বাসের না হলে এই বাসে উঠতে যাবো কেন ? 
আমি খানিকটা বিনয়ের সাথে বললাম 
-জি এই বাসের ! টিকিট দেখাবো ? 
সুপার ভাইজার পথ ছেড়ে দিল । আমি বাসে উঠে মনে হল সুপার ভাইজারকে কিছু বলি কিন্তু নিজেকে সামলে নিলাম । বেচারাকেও দোষ দিয়ে লাভ নাই ! আমার পোষাক দেখে যে কেউ মনে করবে আমি অযাচিত ভাবে এই ভলভো বাসে উঠে পড়েছি ! 

মেয়েটা আবার বলল 
-এটা কি আপনার সিট ? আপনি এখানে বসবেন ? 
এবারও তার গলার বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট ! আমি এবার একটু হাসি দিলাম । যদিও আমি সকাল বেলাতেই ভাল করে দাঁত মেজেছি আর আমার দাঁতও বেশ সুন্দর ! অন্তত এটা বলতে পারি যে আমার মুখ দিয়ে কোন প্রকার গন্ধ বের হয় না । কিন্তু মেয়েটা সেটা বুঝলো না । নিজের মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিল । 
আশ্চার্য ফাজিল মেয়ে !! 
এই ভাবে মুখের উপর কেউ মুখ ঘুরিয়ে নেয় !! হাজার হোক আমি ইউনিভার্সিটিতে পড়া ছেলে । আরে একটা গেঞ্জি, জিন্স পরে কি ভলভো বাসে উঠা যায় না ? 
এটা কোন দেশের কথা ?? 
অবশ্য ক্ষয় হওয়া চটি পরে এই এসি বাসে উঠলে বাসকে অপমান করা হয় ! 
হায় মানুষজন !! কেবল বাইরের জিনিসটাই দেখলি !! আমার ভিতরের কি আছে এইটা দেখলি না ?? 
আমি মেয়েটির পাশে বসে পড়লাম । 

সকাল বেলা বাসায় যাওয়ার কোন প্লানই ছিল না । ভার্সিটি থেকে এসে কি মনে হল যাই একবার বাসা থেকে ঘুরে আসি । আমার আবার একবার কিছু মনে হলে সেই কাজটা না করে শান্তি নাই !! আমার বাসায় যাবো এই কথা মনে হলে তো কোন কথাই নাই । কেউ আমাকে ধরে রাখতে পারে না । কোন মতে কিছু ব্যাগে ভরেই করেই রওনা দিয়ে দিলাম । হঠাৎ করে আসাতে অন্য বাসের কোন সিট পেলাম না । আর রয়েল এক্সপ্রেসই ফাঁকা ছিল । এসি বাসতো ! একটু ভাড়া বেশি ! আমাদের এলাকার এমপি নতুন গাড়ি নামিয়েছে । কি মনে হল যাই ভলভোতে !! 
আগে যদি জানতাম যে আমাকে ভলভো যেতে হবে তাহলে আরো ভালো গেট আপ নিয়ে আসতাম । হাজার হলেও এসি গাড়ীর একটা মানসম্মান আছে তো !! যদিও খুব একটা সমস্যা নাই স্নিকারটা ব্যাগেই আছে । একটা ভাল শার্টও আছে । 

গাড়ি চলতে শুরু করলো !! 
পাশের মেয়েটা এখনও কেমন মুখ শক্ত করে বসে আছে । কেমন একটা নাক সিটকানো ভাব !! 
না !! এই মেয়ের একটা কিছু করতেই হবে !! 
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে একটা হিমু স্টাইলে হাসি দেওয়ার চেষ্টা করলাম । তারপর বললাম 
-আমার শরীর থেকে কি খুব দূর্গন্ধ বের হচ্ছে ?? 
মেয়েটা কোন জবাব না দিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো ! 
আমি আর একটু হেসে বললাম 
-একটু সহজ হয়ে বসুন ! আর মুখটা একটু সহজ করেন ! এমন করে যদি চার পাঁচ ঘন্টা বসে থাকেন তাহলে মুখের পেশি ব্যাথা হয়ে যাবে !! 
এবার মনে হল একটু বেশি বলা হয়ে গেল । মেয়েটা বলল 
-আমি কিভাবে বসবো সেটা আমার বিষয় ! আপনি আপনার নাকে তেল দিন ! 
-আরে সেটাই তো দিতে চেষ্টা করছি । আপনিই বলুন পাশে যদি একটা সুন্দরী মেয়ে বসে থাকে একটা ছেলের কি অন্য দিকে মন ঘোরানো সম্ভব ? 
এবার দেখলাম মেয়েটার মুখের পেশি একটু সোজা হল ? 
আসলে যতই বিরক্ত হোক না কেন মেয়েরা সব সময় নিজেদের প্রশংসা শুনলে খুশি হয় ! হবেই ! 
মেয়েটা আর কিছু বলল না । আবারও অন্য দিকে মুখ ঘুরে তাকালো !! 
আবার ইগনোর !! 
এই ফাজিল মেয়ের সাহস তো কম না !! কথা বলতেছি আর ফাজিলটা অন্য দিকে মুখ করে ফেলছে । এমন একটা ভাব যেন আমার সাথে কথা বলতে সে খুব বেশি আগ্রহী না !! 
দাড়া !! তোকে আগ্রহী করতেছি !! 
চটি স্যান্ডেল পরে আসা বেজায় ভুল হয়েছে !! 
তক্কুনি স্নিকার বের করলাম । তারপর চটি দুটি ব্যাগে ঢুকিয়ে স্নিকার পরলাম । গেঞ্জির উপরেই শার্ট পরলাম । ইন করা ইচ্ছা ছিল কিন্তু মেয়েটার সামনে ইন করা যাবে না । গাড়ি আগে ফেরিতে পৌছাক তখন করতে হবে !! শালার আগে স্মার্ট হইয়া নেই !! 
আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করছিলাম মেয়েটা আমার কাজ কারবার আড় চোখ লক্ষ্য করছে । আরো অনেকেই লক্ষ্য করছে !! 
এবার আমি মেয়েটার দিকে থেকে মুখ সরিয়ে নিলাম । 
যা বেটি !! দুরে গিয়া মর !! তুই আমারে পাইছোস কি ?? 

সুপার ভাইজার টিকিট চেক করতে এসে আমাকে দেখে একটু চমকালো ! আসলে তখনকার আমি আর এখন কার আমি কে ঠিক যেন মেলাতে পারছে না । টিকিট দেওয়ার সময় আমি টিকিটের পিছনে যেখানে নিয়মাবলী লেখা থাকে সে টা পরতে থাকলাম । 
সুপার ভাইজার বলল 
-স্যার কোন প্রশ্ন ছিল !! 
আমি বললাম 
-না মানে দেখছিলাম এই বাসে উঠতে গেলে কোন পোষাক কোড মেনে চলতে হয় নাকি ? 
সুপার ভাইজার ঠিক যেন বুঝতে পারলো না ! 
-মানে ঠিক বুঝলাম না ! 
-বুঝলেন না ?? 
আমি একটু হাসলাম ! তারপর বললাম 
-এই যে একটু আগে আপনি আমাকে ঠিক বাসে উঠতে দিচ্ছিলেন না ! আর এখন স্যার বলে ডাকছেন ! 
-না স্যার এমন কোন কথা না ! আমি তো সবার টিকিট চেক করেই গাড়িতে ঢুকাচ্ছিলাম ! 
-জি ! আমি খুব ভাল করেই দেখছি আপনি কি রকম চেক করছিলেন !! 
লোকটা একটু যেন লজ্জা পেল । আর কোন কথা না বলে চেল গেল তাড়াতাড়ি করে ! 
আমি যদিও মেয়েটার দিকে তাকিয়ে নেই তবুও আমার মনে হচ্ছে মেয়েটা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে । আম চট করে মেয়েটার দিকে তাকালাম । 
হ্যা !! 
আমার ধারনা ঠিক ! 
আচ্ছা মেয়েটা আর একটু ভড়কে দেওয়া যাক ! 
খুব যেন পরিচিত এমন একটা ভাব করে বললাম 
-একটা গল্প আছে না ঐ যে একজন গুনি লোক কে দেশের রাজা দওয়াত দেয় । সেই গুনি লোকটা সাধারন পোষাকে আসলে দাওয়ান তাকে ঢুকতেই দেয় না । তারপর ভাল পোষাক পরে আসলে সালাম ঠুকে ! শুনেছেন গল্পটা ? 
মেয়েটা একটা যেন লজ্জিত ভাবে বলল 
-জি শুনেছি ! 
-লোকটার নামটা কি বলতে পারেন ? আমার ঠিক মনে পড়ছে না ! 
মেয়েটা কিছুক্ষন ভেবে বলল 
-আমারও পড়ছে না !! 
-যাক !! না পড়লে আর কি করা !! আসলে এই সব গল্প থেকে মানুষকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ !! কিন্তু মানুষ কি আর নেয় ? কেবল বাইরের চাকচিক্যই দেখে ! 
আমি এবার মেয়েটার থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিলাম ! মেয়েটার যদি লজ্জা থাকে তাহলে সে নিজেই এবার আমার সাথে কথা বলবে !! কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে লাগলাম !! 

ফেরিতে উঠলেই আমার কেবিনে যাওয়ার অভ্যাস !! বাস ফেরিতে উঠলেই আমি কেবিনের দিকে রওনা দিলাম ! 
আমার বেশ খিদেও পেয়েছিল । আর কিছু না খেলেই না !! হাত মুখ ধুয়ে আমি অর্ডার দিতে লাগলাম । ঠিক তখনই দেখলাম মেয়েটা কেবিনের ভিতরে এল ! আমি ততক্ষনে শার্ট ইন করে ফেলেছি ! 
আমি অর্ডার শেষে বেয়ারাকে বললাম 
-আর ঐ ম্যাডামের জন্য চা নিয়ে এসো ! 
-জি না ! দরকার নাই ! 
তারপর আরো কিছু বলতে গেল কিন্তু ততক্ষনে আমি বেয়ারাকে পাঠিয়ে দিয়েছি ! 
মেয়েটি আমার চেয়ারে বসতে বসতে বলল 
-আমার জন্য অর্ডার দেওয়ার দরকার ছিল না ! 
-আরে এক কাপ চাই তো !! অন্তত আমাকে মনে তো রাখবেন যে ছেড়া চটি স্যান্ডেল পরা একটা ছেলে আমাকে এক কাপ চা খাইয়ে ছিল ! 
মেয়েটা এবার একটু লজ্জা পেল ! লজ্জিত মুখেই বলল 
-আই এম সরি ! 
-সরি ? কেন? আপনি তো সরি বলার মত এমন কিছুই করেন নি !! 
মেয়েটি আমার দিকে না তাকিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলো ! আমি বললাম 
-আচ্ছা ! বাদ দেন ! আমি তানভীর ! ইকোলোমিক্সে পড়ি । ফাইনাল ইয়ার ! আপনি ? 
-মীম ! এবার থার্ড ইয়ার ফাইলাম দেব ! ফার্মেসি !! 
-ও মাই গড !! ফার্মেসি ?? আমি যত দুর জানতাম সুন্দরী মেয়েরা খুব বেশি মেধবী হয় না ! আপনি দেখছি তার উল্টো !! বিউটি উইথ ব্রেন ! 
মীমের চেহারা দেখেই মনে হচ্ছে প্রশংসা ওর পছন্দ হয়েছে । কেবল লজ্জা মিশ্রিত একটু হাসি দিলো !! তারপর বলল 
-না এমন কিছু না ! কত মেয়েই তো ফার্মেসীতে পড়ে ! 
আমি বললাম 
-পড়তে পারে কিন্তু তারা সাধারনত সুন্দরী হয় না আপনার মত ! 
মীম এবার আমার দিকে তাকিয়ে থেকে বলল 
-আপনি কি আমার সাথে ফ্ল্যার্ট করার চেষ্টা করছেন ?? 
-জি ! আপনি বুঝতে পারছেন না ?? আমি আপনার সাথে ফ্ল্যার্ট করছি !! ইভ টিজিং না কিন্তু !! 
মীম একটু গম্ভীর হতে গিয়ে জোরে হেসে ফেলল !! 

তারপর কথা চলতে লাগলো । কোথায় বাড়ি কোথায় থাকি !! ইত্যদি !! ইত্যাদি !! 
পাঁচ ঘন্টার জার্নি যেন পাঁচ মিনিতেই শেষ হয়ে গেল !! 
বাসার সামনে নামতে গিয়ে মীম নিজে এল গাড়ীর গেট পর্যন্ত ! হাত নেড়ে বিদায় দিল !! এমন কি জানলা দিয়ে হাত বের করেও টাটা দিল । 

আপনারা কি মনে করেছেন ? গল্প এখানেই শেষ ? B-)) B-)) B-)) B-)) 
সবকিছু ভুল করলেও মীমের মোবাইল নাম্বার নিতে কিন্তু আমি একদম ভুল করি নাই !! আজ রাতেই তার সাথে কথা হবে !! খুব শীঘ্রিই সে আমার গার্লফ্রেন্ডও হয়ে যাবে !! B-)) B-)) 
তবে সেটা অন্য গল্প !! 


গল্পের মোরাল হল মেয়েরা সব সময় পোষাক পরিচ্ছেদে ফিটফাট ছেলেদের কে পছন্দ করে ! সাথে সাথে মেয়েরা নিজেদের প্রশংসা শুনতেও ভালবাসে ! যদিও সেটা মিথ্যা হোক !! আর সব চেয়ে বড় কথা হল একটা মেয়েকে যদি আপনি বুদ্ধিমতি বলেন তাহলে সে সব থেকে বেশি খুশি হয় !
0 মন্তব্য(গুলি)

মানুষের মানচিত্র: আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন!

মানুষের মানচিত্র: আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন!

মানুষের মানচিত্র: আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন!

ঈদ মানেই আনন্দ। সারা বছর যে যতই ব্যস্ত থাকুক না কেন, এ সময়টা পরিবারের সবাই একসঙ্গে কাটায়। এক সঙ্গে সিনেমা দেখা, খাওয়া-দাওয়া আরো কত কী! কোরবানির ঈদের আনন্দটা একটু ভিন্ন। এ দিন কোরবানি দিয়ে মাংশ কাটা, মাংশ ভাগ করা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সবাই। কিন্তু এরপরও কিছু মানুষ আছে যারা কোরবানির বর্জ্য পরিস্কার করতে করতেই দিন পার করে দেয়। তাদের জন্য ঈদের দিন আর অন্যদিনের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকে না। তারা হলো সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী।

কাল ঈদ। তাই আজ মানুষের মানচিত্র’র আয়োজন সাজানো হয়েছে এসব পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের গল্প দিয়ে। যারা ঈদের দিনও এই শহরকে ঝকঝকে করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করে যাবে অনবরত ভাবে।



রাজধানীর রাস্তা-ঘাট, নর্দমা, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করে যাচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষের নিয়োগকৃত অনেক কর্মী। ময়লা সংগ্রহ, শহরের রাস্তাঘাট ঝাড়ু দেওয়া, নর্দমা পরিষ্কার, ময়লার ট্রাকে ময়লা তুলে দেয়া-অর্থাৎ সমাজে যে কাজগুলোকে ‘অশুচি’ বলে বিবেচনা করা হয় সেই কাজগুলোই করে থাকেন এ পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। খেটে খেটে যারা শহরকে ঝকঝকে করে তোলেন, তাদেরই হতে হয় নানা বঞ্চনার শিকার। এসব মানুষদের জন্য কেউ ভাবে না, কেউ এদের নিয়ে চিন্তা করে না। এদের জীবন যাপন করতে হয় অন্ধকারের জীবন। তাদেরই একজন হলো ইসমাইল। বয়স ৩০ হবে প্রায়। তার সঙ্গে গল্প করে ঈদের অনুভুতি জানলাম।



কালকে ঈদের দিন কীভাবে পার করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল বলেন, ‘ঈদ! কী আর করুম? তোমরা কুরবানি দিবা, আমরা ওইসব পরিষ্কার করুম।’

ইসমাইল জানান, ঈদের দিন কাজের চাপ আরও বেশি থাকে তার। যেহেতু কোরবানির ঈদ, পশুর বর্জ্য পরিষ্কার করে, ব্লিচিং পাউডার দিয়ে দূর্গন্ধ মুক্ত রাখতেই তিনি ব্যস্ত থাকেন।

‘ঝামেলা হয় যহন বার বার পরিষ্কার করন লাগে। অনেকে তো ঈদের পরেও গরু-চাগল কাটে। তহনই ঝামেলা হয়। বার বার পরিষ্কার করা ভাল লাগে না।’



পরিচ্ছন্নতাকর্মীদেরকে অনেক সময় নর্দমায় নেমে ময়লা পরিষ্কার করতে হয়। কিছু কিছু ড্রেনেজ সিস্টেমের লাইনগুলো এতটাই গভীর যে সেটা পরিষ্কার করতে হলে পুরো শরীর নিয়েই ঢুকতে হয় ড্রেনে। সেই কাজ করার পর যখন নর্দমা থেকে বের হয়ে আসে, তখন তারা রীতিমত কাঁপতে থাকে, কষ্টে। এ কাজ করার জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। শুধু প্রয়োজন হয় এক জোড়া হাত, এক জোড়া পা এবং ওই দূর্গন্ধযুক্ত অন্ধকারে ঝাঁপিয়ে পড়ার মত সাহস।

ইসমাইল বলেন, দিনের শুরুতেই তাকে একটি নর্দমায় নেমে পড়তে হয়। দিনের শেষেও তার শরীর থেকে সেই দুর্গন্ধ যায় না। ড্রেনের নোংরা পানির মধ্যে মরা জীব জন্তু ভাসে, সেই পানিতেই মুখ ডুবিয়ে কাজ করতে হয় তাকে।

ইসমাইল বলেন, ‘ঈদ তোমাগো জন্য আপু। আমরা নোংরার মানুষ, নোংরাই জীবন। ঈদ আর কি? মাঝে মাঝে সময় পাইলে, একটু ঈদের সিমাই খাই, আর বাংলা ছবি দেখি।’

আমরা সারাদিন নিজেরাই রাস্তা ঘাটে ময়লা ফেলে নোংরা করে রাখি প্রাণের শহর ঢাকাকে। অথচ আমরা চাইলে ডাস্টবিন ব্যবহার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কাজ অনেকটাই সহজ করে দিতে পারি। তবে চলুন না, ঈদে কোরবানির বর্জ্য নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে ডাস্টবিনে ফেলি বা মাটিতে গর্ত করে চাপা দেই। অন্তত এই ঈদের সময়গুলোতে এই মানুষগুলোকে কিছুটা শান্তি দেই।
পোস্ট”:কপি
0 মন্তব্য(গুলি)

জীবন বদলে ফেলার জাদু

Related image

জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন নতুন পরিবর্তন অপেক্ষা করে আমাদের জন্য। যেগুলো নিমিষে এলোমেলো করে দেয় অনেক আগে থেকে ভেবে রাখা সব কথা আর পরিকল্পনাগুলো। কিন্তু এর সবটাই কী হঠাৎ করেই হয়?

না! আমরাও জীবনে পরিবর্তন চাই। আর চাই বলেই নিজেদের জীবনকে পরিবর্তিত করতে নিই নানারকম পদক্ষেপ। কোনো সমস্যায় পড়েছেন, কষ্টে আছেন, কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে আটকে গেছেন? জীবনকে একেবারেই নতুন করে শুরু করতে চান? বদলে দিতে চান একেবারেই। তাহলে চেষ্টা করুন এই ব্যাপারগুলো। বদল আপনার জীবনে আসবেই! এবং সেটা ইতিবাচকভাবে। জীবন বদলের গল্প , জীবন বদলের চাবিকাঠি , জীবনের রং বদলের গল্প , জীবন নিয়ে গল্প , জীবন বদলের চাবিকাঠি অটোসাজেশন , দৃষ্টিভঙ্গি বদলান জীবন বদলে যাবে , জীবন কি , জীবন মানে কি , জীবন কাহিনী , জীবন যুদ্ধ , জীবন নিয়ে কবিতা , জীবন মানে , দিন বদলের গল্প এসব সমার্থক বাক্যগুলোর মধ্যে কোন না কোনটাই আপনার জিজ্ঞাসা হতে পারে। আসুননা নিচের পদক্ষেপগুলোকে একবার সমীক্ষা চালাই।

নিজেকে বোঝার চেষ্টা করুন

একজন মানুষ হিসেবে আপনার ভেতরেও আর সবার মতন আছে হাজারটা স্বপ্ন। সেগুলোর কোনোটা ভেঙে গিয়েছে এর মধ্যেই, কোনোটা রয়ে গেছে আপনার নিজেরই অজানা। জানতে চেষ্টা করুন কী সেই স্বপ্নগুলো। কী করতে চান আপনি? কী করতে ভালোলাগে? আর ১০ বছর পর পেছনে ফিরে দেখলে নিজেকে কোথায দেখতে চাইবেন আপনি? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন। হয়তো এখন আপনি ভেঙেচুরে আছেন, আপাত দৃষ্টিতে কোনো স্বপ্নই দেখতে পারছেন না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, মানুষ মরে গেলেও তার স্বপ্ন মরে না। আর তাই প্রথমে নিজেকে জানুন আর নিজের ভেতরে লুকিয়ে তাকা ইচ্ছেটাকে চেনার চেষ্টা করুন।

তালিকা তৈরি করুন

কী করতে চান আপনি? কী কী করার ইচ্ছে আছে আপনার? নিজের শখগুলোকে বন্দি করে ফেলুন কাগজের পাতায়। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে? তখন কোনোরকম চিন্তা-ভাবনা ছাড়াই আমরা বলতাম- বড় হয়ে রিকশাওয়ালা হব! আকাশে উড়ব! এমনি আরো কতকিছু। ঠিক সেরকমভাবে কী করতে পারা যাবে আর কী যাবেনা সেটা চিন্তা না করেই লিখে ফেলুন ঠিক কী কী ইচ্ছে আছে আপনার আর সেগুলোকে পূরণ করার পথে এগিয়ে যান।

স্বপ্নের পথ খুঁজুন

স্বপ্ন দেখলেই তো হয়না। সেগুলো পূরণের জন্য করতে হয় যথেস্ট চেষ্টাও। আর তাই নিজের স্বপ্নগুলোকে পূরণ করতে এগিয়ে যান। কোনোটা হয়তো একদিনেই সম্ভব, কোনোটা এক বছরেও নয়! আর তাই স্বপ্নের মাত্রা অনুযায়ী ঠিক করে ফেলুন সেটা অর্জনের পথ। তবে একেবারেই খুব বেশি মাথা ঘামাবেন না। হতেই পারে হুট করে আপনার স্বপ্নটাই বদলে গেল। কিন্তু সেটা পূরণের জন্যে যে ছোট ছোট পদক্ষেপগুলো নেন আপনি তাতেই পাল্টে যেতে পারে আপনার জীবন অনেকটা।

অনুশোচনাকে ভুলে যান

জীবনে অনেক কাজই আছে যেগুলোর জন্যে মনে মনে অনুশোচনায় পুড়ছেন আপনি। কিন্তু এটা একেবারেই কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না আপনার জন্যে। উল্টো এই অনুশোচনাগুলোই অতীতের সঙ্গে আরো আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রাখবে আপনাকে। যা করেছেন, যা হয়েছিল সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কারণ মাথায় বয়ে বেড়ালে ব্যাপারটি পাল্টাবে না। উল্টো অনুশোচনা করে বর্তমানকে নষ্ট করলে সেটাই ভবিষ্যতে আপনার অনুশোচনার কারণ হয়ে দাড়াবে। একটা বেলুন নিন। তাতে লিখুন আপনার অনুশোচনার ব্যাপারটি। আর ফুলিয়ে উড়িয়ে দিন আকাশে। কিংবা কাগজে লিখে পুড়িয়ে ফেলুন। পানিতে মিশিয়ে ফেলে দিন বাইরে। মোটকথা, যেভাবেই হোক মুক্তি দিন নিজেকে অনুশোচনার ভূতের হাত থেকে।

ভয়কে জয় করুন

প্রতিটি মানুষেরই কোনো না কোনো ব্যাপারে ভয় থাকে, দূর্বলতা থাকে। না, সেটা থেকে দূরে নয়, বরং সেটার অনেক কাছে এসে মুখোমুখি মোকাবেলা করুন। যদি এমন হয় যে উঁচু জায়গাকে ভয় পান আপনি, সাঁতার কাটতে ভয় পান কিংবা মানুষের সামনে কথা বলতে ভয় পান- তাহলে যেটাই হোক চেষ্টা করুন সেটা করতে। নিজের ভয়কে সামনে থেকে মোকাবেলা করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। সেই সঙ্গে সঙ্গে সাঁজিয়ে ফেলুন জীবনকে নতুন করে। এখনই একটা তালিকা করে ফেলুন এই জিনিসগুলোর। আর এগিয়ে যান।

শরীরের প্রতি যত্ন নিন

মন খারাপ? জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা এসে গিয়েছে? না খেয়ে থাকলে কিংবা অতিরিক্ত খেলে সেটা সাময়িক ভালো লাগা দিলেও একটা সময় গিয়ে খারাপ লাগাটা বাড়েই কেবল। কমবে না। আর তাই শরীরের যত্ন নিন। ঠিকঠাক খাওয়া দাওয়া করুন। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খান। সেই সঙ্গে চেষ্টা করুন খানিকটা শরীরচর্চা করতে। আমাদের বয়স বেড়ে যাবে, আমরা একটা সময় অসুস্থ হব। এসব কিছুই ঠিক। এগুলোর কোনোটাকে খুব একটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না আমি কিংবা আপনি। কিন্তু শরীরের যত্ন নিয়ে শরীর আর মনকে ভালো রাখতে পারব।

নেতিবাচক ভাবনাকে জয় করুন

নেতিবাচক ভাবনা তৈরি করি আমরা, আর সেটাকে পেলে পুষে বড় করে শেষমেশ সেটার হাতে নিজেকে সঁপেও দিই আমরাই। আর তাই নিজের মাথায় থাকা এমন কোনো নেতিবাচক চিন্তাকে পাত্তা দেবেন না। সময় দেবেননা সেটাকে আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে। কেউ একজন আপনার জীবনে ছিল। এখন নেই বলেই যে আপনার জীবন কষ্টের, নষ্ট হয়ে যাবে তা না। তেমনি আপনার একটা চাকরি চলে যাওয়া মানেই এই না যে আর চাকরি পাবেননা। আর তাই সামনে যেটা আসছে সেটাকেই ভালোভাবে মেনে নিন। কে জানে, আপনার ধারণাকে ভুল করে দিয়ে সামনে হয়তো আরো ভালো কিছু অপেক্ষা করে আছে আপনার জন্যে!

বর্তমানে থাকুন

বর্তমান, অতীত আর ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের জীবন। তবে বর্তমানই একটা সময় অতীত আর ভবিষ্যত তৈরি করে। তাই চেষ্টা করুন বর্তমানেই সবসময় বাঁচতে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নিয়ে ভেবে এবং অতীতে কী হয়েছিল তা নিয়ে পড়ে থেকে বর্তমানকে খারাপ করবেননা। এতে করে আপনি যা আশংকা করছিলেন তাই হতে বাধ্য হবে। আর সেটা বাধ্য করেন আপনিই!

নিজেকে ভালোবাসুন

বারবার ব্যর্থ হতে হচ্ছে আপনাকে কিংবা নিজের কোনো একটা ব্যাপার নিয়ে বিরক্ত আর রাগান্বিত আপনি? কিন্তু একবার ভাবুন, আপনি যেমনই হোন, সেটা তো আপনিই! আপনাকে আপনিই যদি অবহেলা করেন, তুচ্ছ করেন, ভালো না বাসেন তাহলে অন্য কেউ ভালোবাসবে কেন আপনাকে? আর তাই ভালোবাসুন নিজেকে। আর নিজে যা সেটা নিয়ে আসুন সামনের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে।
জীবন বদলের গল্প তো অনেক বললাম, কে জানে কে কি মনে করেন, তবে এটুকুই বলার সাহস রাখি যে, কথাগুলো জীবনের প্রতি পদেপদে সত্যি। ধন্যবাদ ……………. ভাললাগলে শেয়ার করুন।
পোস্ট:কপি

0 মন্তব্য(গুলি)

জীবনের কিছুটা সময়

Image result for জীবনের কিছুটা সময়




 

জীবনের কিছুটা সময় 

জীবনের কিছুটা সময় অবেলার মত হারিয়ে গেছে ! পৃথিবীর কিছুটা সুখ আকড়ে ধরে বাচতে চেয়েছিলাম কিন্তু জীবনটা যে এত অবহেলার পাত্র হয়ে যাবে তা কখনো ভাবিনি. আজকের এই পৃথিবীটা নিজের কাছে খুব বেমানান লাগে.
কি নিষ্টুর এই দুনিয়া !!
মানুষ কারণে - অকারণে কাদে, ভেসে বেড়ায় হতাশার জালে. স্বপ্ন বুনে যায় আপন মনে! কিন্তু সেই স্বপ্নগুলো যে হতাশার কালো অন্ধকারে ঢেকে যাবে তা কে জানে .
বড়ই আজব এই দুনিয়া !!

প্রিয়া তোমার ভালবাসায়
প্রিয়া তুমি ভুলে যেও না আমায় 
হৃদয় উজার করে ভালবাসা দেব তোমায়
তুমি আমার এই জীবনের প্রথম ভালবাসা
কখনো দিও না মনে দুঃখ-বেদনা আর নৈরাশা !!!

তোমায় নিয়ে কত আশা কত স্বপ্ন দেখি
তুমি আমায় কখনো দিও না ফাকি
এক জীবনে যত আশা, যত ভালবাসা
সবই রেখেছি জমা তোমায় দেব বলে
কখনো এই হৃদয়টাকে দিও না ভেঙ্গে ছুড়ে !!!

একদিন তোমায় বউ সাজিয়ে নিয়ে যাব আমার ঘরে
সেদিন নেব তোমায় পৃথিবীর সবচেয়ে আপন করে
চুপটি করে থাকবে সেদিন বলবে না কিছু আমায়
হৃদয়ে জমানো সব ভালবাসা সেদিন দেব তোমায় !!!

স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে গড়ব জীবন আমরা দুজন
ভালবাসার সাগরে মিশে একসাথে রব মোরা সারাজীবন !!!

লেখক:এস. এম. কামরুজ্জামান

 





0 মন্তব্য(গুলি)

আমার জীবনের লক্ষ কি?







আমার জীবনের লক্ষ কি?


আমি অনেক হতাশ ছিলাম... দরজা বন্ধ
করে মেঝেতে শুয়ে ভাবছিলাম...
আমি কি করবো ?

আমার জীবনের লক্ষ কি??
হঠাৎ খেয়াল করলাম...এর জবাব
আমার ঘরের ভিতরেই আছে !

মাথার উপরে ফ্যান বলছেঃ
সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখবে!

ছাদ বলছেঃ সব সময় চূড়ায়
যাবার চেষ্টায় থাকবে!
জানালা বলছেঃ বাহিরের
জগতটা কে দেখ ভাল করে!

ঘড়ি বলছেঃ প্রতিটা সময় অনেক মূল্যবান!
আয়না বলছেঃ আগে ভাবো , তার পর করো!
ক্যালেন্ডার বলছেঃ সবার আগে চলো!

দরজা বলছেঃ সর্ব শক্তি দিয়ে জীবনের
লক্ষ পূরন এর চেষ্টা করো!
আমি উঠে দাঁড়ালাম…
দরজার দিকে এগিয়ে আসছি , এমন সময়
পিছন দিক থেকে মেঝে বলে উঠলোঃ- ''সবকিছুর আগে মেঝেতে সেজদা দিয়ে খোদার
কাছে সাহায্য চেয়ে নাও !!'

(art:yasin) 


আমাদের ফেজবুক
0 মন্তব্য(গুলি)

আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার


 আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন আমার


নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছি আমরা কজন—আমি, মা, বাবা, আমার ছোট আপু আর ভ্যানচালক ডাকুদা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে ভ্যান চালাতে গিয়ে ঘেমে নেয়ে একাকার তিনি। একটু ছায়ায় গিয়ে দাঁড়ালেন। আর আমার দৃষ্টি নদীর পাশের মরাকাটির খেলার মাঠের দিকে। আমার বন্ধুরা সবাই ক্রিকেট খেলছে সেখানে। আমারও তখন সেখানে থাকার কথা। দুদিন আগেই আমার এসএসসি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। অনেক আশা করেছিলাম, পরীক্ষা শেষে মুক্তবিহঙ্গের মতো ঘুরে বেড়াব আর সারা দিন ক্রিকেট খেলব। অর্জুন আর রুবেলের শর্ট পিচ বলগুলো ঠিকমতো খেলতে পারি না। এই কয় মাসে অনুশীলন করে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠব। কিন্তু সেটা আর হলো না।


আমি ঢাকায় চলে যাচ্ছি। ওখানে আমি কলেজে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করব। আমার আপু-দুলাভাইয়ের বাসায় থেকে পড়ালেখা করতে হবে। ঢাকায় যাওয়ার কথা শুনে আমি প্রথমে খুব একটা অখুশি হইনি। প্রথমত আমি আমার কয়েক মাস বয়সী ভাগনি রিফাহকে খুব মিস করছিলাম। তার সঙ্গে খেলতে পারব সারা দিন, এই ভেবে খুব ভালো লাগছিল। আর ঢাকায় গেলে দুলাভাই আইসক্রিম কিনে খাওয়াবেন। আপু রান্না করবেন মজাদার নুডলস। এই সবকিছুর চেয়েও অনেক বড় একটা কারণ ছিল—নিজেকে ভালো একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা। এটা ১৭ এপ্রিল ২০০২ সালের কথা।

এর পাঁচ বছর আগে ক্লাস সিক্সে যখন দিনাজপুর জিলা স্কুলে পড়ার সুযোগ এসেছিল, তখনো বাবা-মাকে ছেড়ে শহরে থাকব না বলে অনেক কান্নাকাটি করেছিলাম। এরপর আমার শিক্ষক প্রাণ কুমার স্যার যখন ভর্তি ফরমে আমার স্বাক্ষর নিতে এসেছিলেন, আমি বাড়ির পেছনের খেতে লুকিয়ে ছিলাম প্রায় কয়েক ঘণ্টা। যতক্ষণ স্যার আমাকে শহরে নিয়ে না যাওয়ার ব্যাপারে সম্মতি না দেন। এবার আর সে পথে না গিয়ে সুবোধ বালকের মতো ঢাকায় যাচ্ছি পড়তে। নদী পার হওয়ার পর ভ্যানচালক ডাকুদা আমাকে আর বাবাকে বললেন ভ্যানে উঠে পড়তে। শহরে যেতে সময় লাগবে। মা আমাকে জড়িয়ে ধরে আমার গালে অনেক আদর করে দিলেন আর বললেন ভালো করে পড়াশোনা করতে। আমি ভ্যানে উঠতেই মা কেঁদে ফেললেন। মার কান্না দেখে পাশ দিয়ে যাওয়া এক কাকা বললেন, মাস্টারনি এভাবে কাঁদলে ছেলের মন বসবে না তো ঢাকায়। আমিও মাকে বললাম, আপনি কাঁদলে আমি ঢাকায় যাব না। মা আঁচল দিয়ে চোখ মুছে কান্না ঢাকার ব্যর্থ চেষ্টা করলেন।

ঢাকায় এসে সময়ের স্রোতে শহুরে জীবনের বাস্তবতা টের পেলাম। চার দেয়ালের মাঝখানের বদ্ধ জীবনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠি আমি। এরপর ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হলাম। এখানে এসে বুঝতে পারলাম নিজেকে ঝালিয়ে নেবার অফুরন্ত সুযোগ আমার সামনে। ধীরে ধীরে স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম, আমি আমার পরিশ্রম দিয়ে বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করব। একদিন আমার গ্রামের স্কুলের সব ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখাব উজ্জ্বল ভবিষ্যতের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিকে ইংরেজি ক্লাসে ​ম্যাডাম আমাদের সবাইকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে আমাদের স্বপ্ন কী বলতে বললেন। ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে স্পষ্ট দৃঢ়তা নিয়ে বলে ফেললাম, আমি এই ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হতে চাই। আমার কথা শুনে বন্ধুরা সবাই চোখাচোখি শুরু করল আর এই অধমের দুঃসাহস দেখে কেউ কেউ বিস্মিতও হলো। যা হোক, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন আমার স্বপ্নগুলোও ডানা মেলতে শুরু করল।
২০১২ সালে আমি আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলাম। এরপর সে বছরই পিএইচডি করতে জার্মান ক্যানসার গবেষণা কেন্দ্রে এসেছি। এখানে আসার পর আমি স্বপ্ন দেখি আমার দেশেও একদিন আমি অনেক বড় একটা রিসার্চ ল্যাব গড়ে তুলব। সেখানে গবেষণা হবে ক্যানসার জিনোম সিকুএন্সিং আর ফাংশনাল জিনোম নিয়ে। আমরা আমাদের নিজস্ব ক্যানসার তথ্যভান্ডার গড়ে তুলব। সেখানে কাজ করবে আমার দেশের সব তুখোড় খুদে বিজ্ঞানীরা।
এসব আকাশ ছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছি গত তিন বছর ধরে। এখন যখন আমার দেশে ফেরার সময় হয়েছে, সময় হয়েছে আমার স্বপ্নগুলোকে রাঙিয়ে তোলার, তখনই নানা অনিশ্চয়তা আর রূঢ় বাস্তবতা সামনে আসতে শুরু করেছে। বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে গবেষণা খাতে আমাদের অর্জন যৎসামান্য। মেধা আর ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাবে আমরা এখনো সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারিনি। তার পরও স্বপ্নচারী মানুষের স্বপ্নযাত্রা থেমে থাকে না। এত সীমাবদ্ধতা পরও আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা পাটের জিনোমে রহস্য উন্মোচন করেছেন। কলেরা আর টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণায় আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে। আমাদের দেশের ডিএনএ ল্যাব এখন অপরাধী শনাক্ত করতে আধুনিক কৌশল অবলম্বন করছে। সব সাফল্যের পেছনেই আছে অনেক বড় বড় স্বপ্ন আর স্বপ্ন দেখার জন্য স্বপ্নচারী আমার স্বপ্নও হয়তো একদিন পূর্ণ হবে। আগামী বিশ বছর পর হয়তো কার্জন হলের কোনো ল্যাবে বসে আমি আমার স্বপ্নের গল্প অন্যদের শোনাব আর তাঁর ফাঁকে এসে আমাদের ল্যাবের খুদে গবেষকেরা এসে বলবে, স্যার, আর্সেনিক দূষণের কারণে যেসব ক্যানসার হয়ে থাকে তাদের জিনোমে গবেষণা করে আমরা এমন একটি মিউটেশন পেয়েছি যেটা আর্সেনিকের জন্য হওয়া সকল ক্যানসারের মধ্যেই পাওয়া গেছে এবং সেগুলো ক্যানসার কোষের অনিয়ন্ত্রিত বিভাজনে সাহায্য করে। আমি চোখে মুখে উত্তেজনার ভাব লুকিয়ে বলব, তাহলে আমরা কোষ বিভাজনে সেই প্রোটিনের ভূমিকা দেখতে চাই। কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে গিয়ে ওখানকার বায়ো ইমেজ প্রসেসিং ল্যাবের সঙ্গে কথা বল। তারা কোষ বিভাজনের সময় বিভিন্ন প্রোটিনের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা করেন। এরপর খুদে গবেষকেরা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আমি বিড়বিড় করে বলতে থাকব, ক্যানসার, এবার তোমার পাঁজর ভেঙ্গেই ছাড়ব। স্বপ্ন তো স্বপ্নই...সীমানা দিয়ে স্বপ্ন দেখার তো মানে হয় না।









0 মন্তব্য(গুলি)

মিথ্যা ভালোবাসা

Image result for মিথ্যা ভালোবাসা






  মিথ্যা ভালোবাসা 


বন্ধুরা তুমরা সবাই কেমন আছো। তোমাদের Garil Friend and Boy Friend কে নিয়ে আসা করি মিথ্যা ভালোবাসা নিয়ে ভালো্ই আছো। মিথ্যে ভালোবাসা টা হল ছেলেরা মেয়েদের নিয়ে মজা করে। বিশেষ করে ছেলেদের ক্ষেত্রে এই কথা গুলো তুলে ধরিছি। ছেলেরা মেয়েদের কে নিয়ে মজা করতে ভালোবাসে। তারা মেয়েদের কে নিয়ে মজা করলেই তো হবে না। এক্ষেত্রে মেয়েদের কিছু কথা বলার আছে। ছেলেরা আসলেই একটা Dog. তারা মেয়েদের পিছনে কুকুরের মত ঘুর ঘুর করে।এ কথা গুলোর মাঝখানে স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে যে ছেলেরা মেয়েদের পিছনে ঘুরে। কী বন্ধুরা সত্যি কথা বলেনি। আসা করি তোমরা হ্যাঁ বলবে। তারা সুন্দর স্মার্ট বলে মনে করে। তারা সুন্দর কিন্তু কুকুরের মতো।  য়ারা এরকম মিথ্যা ভালোবাসা নিয়ে ঘুরে তাদেরকে এসব কথা বলা হয়েছে। তারা সকালে এক মেয়ের সাথে,দুপুরে এক মেয়ের সাথে,বিকেলে এক মেয়ের সাথে ঘুরে বেড়ায়। আসলে ছেলেদের কাজই এটা। তারা Bad Habits. ছাড়ে না। মেয়েদের সহজ, সরল ভালো মন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আমি ছেলেদের ক্ষেত্রে কিছু কথা লিখে দিচ্ছি। যেমনঃ কয়লার মতো কালো, কাকের মতো কর্কশ, বাজ পাখির মতো ক্ষুধার্ত, পালকের মত হাল্কা ইত্যাদি। মিথ্যা ভালোবাসা কথাটা তোমাদের Let the dog loose.ছেড়ে দেওয়া উচিৎ। কী বন্ধরা Story টা কেমন লাগল। আসা করি উওরটা পাঠিয়ে দিবে।


লেখক: সুরাইয়া আক্তার সাথী 
আমাদের ফেজবুক পেইজ
0 মন্তব্য(গুলি)

বাংলাদেশে কী নিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা

বাংলাদেশে কী নিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা 


অনলাইন ডেস্ক
দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা কয়েকজন রোহিঙ্গা। ছবি : এবিসি
নির্যাতন ও হত্যার পর ভিটেমাটি ছেড়ে দলে দলে রোহিঙ্গারা চলে আসছে বাংলাদেশে। পেছনে ফেলে আসছে কয়েক পুরুষের ভিটেবাড়ি আর হাজারো স্মৃতি। কিন্তু প্রাণ সবার আগে। আর তাই জীবন বাঁচাতে এই আপ্তবাক্য মেনে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, সেই যৎসামান্য নিয়েই প্রাণ বাঁচাতে ভিনদেশে ছুটছে রোহিঙ্গারা।

পথে কত বিপদ। রাখাইন রাজ্যে পদে পদে সেনাবাহিনীর গুলির ভয়। আর সীমান্তে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেই আতঙ্ক তো রয়েছেই। ক্ষুধা, পথশ্রমের ক্লান্তি আর হাজারো অপমানের ভয়। এত কিছুর পরও নিজের কিছু জিনিস সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে পৌঁছাচ্ছে রোহিঙ্গারা। 

সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অনেকেই সঙ্গে নিয়ে এসেছে জরাজীর্ণ মোবাইল ফোন, মেমোরি কার্ড, এমনকি সেই ফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য সোলার প্যানেলও। টর্চলাইট আছে অনেকের কাছে। মোবাইল ও টর্চলাইট বহনে অনেকেই ব্যবহার করছে পলিথিনের ব্যাগ।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বাঁশের ঝুড়িতে করে এনেছে নানা খাবারও। নিজের জমিতে উৎপাদিত সবজি, শুকনো খাবার, মসলা, মরিচ নিয়ে এসেছে তারা। অনেকের কাছেই আছে নিত্যপ্রয়োজনীয় তৈজষ যেমন হাঁড়ি, কলসি ইত্যাদি। 

পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কজন জানান, পথে অনেকেরই মোবাইল ফোনও কেড়ে রেখে দিয়েছেন সেনাবাহিনী কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। স্থানীয়দের অনেকেও পথে লুটতরাজ চালাচ্ছে। ওই দুর্বৃত্তরা প্রধানত মোবাইলের খোঁজ করে।
অনেক রোহিঙ্গাই এ কারণে মোবাইল হারালেও মোবাইল থেকে মেমোরি কার্ড আলাদা করে লুকিয়ে আনতে পেরেছে। তবে সেই মেমোরি কার্ডে তাদের স্বজনদের ছবি, ভিডিও মুছে ফেলছে। পরিবারের অন্য সদস্যদের খুঁজে বের করতে পারে। 

এছাড়া ঘরহীন এই রোহিঙ্গাদের অনেকের কাছেই দেখা গেছে নানা দলিল-দস্তাবেজ ও অন্যান্য দরকারি কাগজ। জাতীয় পরিচয়পত্রও রয়েছে অনেকের কাছে। আছে বিদ্যালয় ও শিক্ষাগত সনদ। মিয়ানমারে আবার ফিরে গিয়ে নিজেদের জায়গা ফিরে পাওয়ার আশায় তারা জমির দলিল নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ।
দীর্ঘ পথের ক্লান্তি আর বিপদ পাড়ি দিয়েও রোহিঙ্গারা অনেকে নিয়ে এসেছে পোষা হাঁস-মুরগি, পাখি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মুরগি, হাঁস, রাজহাঁসও। 

কাঁধে বাঁশের দুই পাশে বস্তায় বেঁধে কিংবা বাঁশের ঝুড়িতে করে এসব সামগ্রী নিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা। এদের কেউ এসেছে নদীপথে, আবার কেউ বনজঙ্গলের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে পালিয়ে এসেছে।

গত ২৪ আগস্ট রাতে রাখাইন রাজ্যে একসঙ্গে ২৪টি পুলিশ ক্যাম্প ও একটি সেনা আবাসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। ‘বিদ্রোহী রোহিঙ্গাদের’ সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এই হামলার দায় স্বীকার করে। এ ঘটনার পর মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।
মিয়ানমার সরকারের বরাত দিয়ে জাতিসংঘ গত ১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, মিয়ানমারে সহিংসতা শুরুর পর গত এক সপ্তাহে ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৭০ জন ‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী’, ১৩ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, দুজন সরকারি কর্মকর্তা এবং ১৪ জন সাধারণ নাগরিক।

মিয়ানমার সরকারের আরো দাবি, ‘বিদ্রোহী সন্ত্রাসীরা’ এখন পর্যন্ত রাখাইনের প্রায় দুই হাজার ৬০০ বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তাদের ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এখনো রাখাইন রাজ্যে থাকা মুসলিমদের মধ্যে মাইকে প্রচার চালাচ্ছে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
0 মন্তব্য(গুলি)
 
Copyright © 2014. আমাদের লেখা - All Rights Reserved
Template Created by Mony pabna